শিক্ষাঙ্গন

চান্দিনায় অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

চান্দিনায় অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

 

সর্বোচ্চ ডাঃ ফিরোজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ও

 

 

কুমিল্লার চান্দিনায় অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষয় অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সদরে অবস্থিত ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, হারং উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের  বিরুদ্ধে।

 

রবিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা। যা উপজেলায় সর্বোচ্চ। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে ফি আদায় করেন শিক্ষকরা। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ঢালাওভাবে ৪০০টাকা করে ফি আদায় করা হচ্ছে। পৌর এলাকার হারং উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা করে এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার অম্বরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০০ করে, অষ্টম শ্রেণিতে ৩৫০, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ৩০০ টাকা করে ফি আদায় করা হয়। যা অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় অধিক। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবার ফি বৃদ্ধি করেছে। ফলে নি¤œ ও নি¤œ মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার মাধাইয়া বাজার ছাদিম উচ্চ বিদ্যালয়, এএফএম উচ্চ বিদ্যালয়, বাড়েরা উচ্চ বিদ্যালয়, চিলোড়া পূর্ব অম্বরপুর কারিগরী উচ্চ বিদ্যালয়, ভোমরকান্দি ও মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয়সহ, অধিকাংশ স্কুলে শ্রেণি ভিত্তিক ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পরীক্ষার আদায় করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

 

এব্যাপারে বড়গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা নাছরিন পরীক্ষার ফি এর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- ‘এবছর আমরা ৫০ টাকা করে ফি বৃদ্ধি করেছি। পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়।’

 

অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন- ‘এবছর আমরা শুধু ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা করে বাড়িয়েছি। আমাদের ২৭ জন খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছে। তাদের বেতন দিতে হয়। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন কমানো হয়েছে। খাতা-কাগজ, প্রশ্নপত্র তৈরী, ছাপানোর ব্যয়ও বেড়েছে।’

 

অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা দাস জানান, ‘এবছর কাগজের দাম বেড়েছে, আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাল্টিমিডিয়াসহ অন্যান্য খরচের ব্যাপার রয়েছে। আর এই ফি গত বছর থেকেই নেয়া হচ্ছে।’

 

এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন- ‘আসলে পরীক্ষার ফি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কিছুই জানায় না। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

 

এব্যাপারে জানতে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম জাকারিয়া বলেন – অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।

 

Close