লাইফস্টাইল

রেনু হত্যায় একজনের স্বীকারোক্তি ৩ জন রিমান্ডে, বাকি আসামির খোঁজে পুলিশ

রেনু হত্যায় একজনের স্বীকারোক্তি

৩ জন রিমান্ডে, বাকি আসামির খোঁজে পুলিশ

 

রাজধানীর উত্তরপূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাছলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার চারজনের তিনজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্য আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তিন আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

রিমান্ডে নেয়া তিনজন হলেন- বরগুনার তালতলী উপজেলার শাহীন (৩১), ময়মনসিংহের ধোবাউরা উপজেলার দরশা গ্রামের বাচ্চু মিয়া (২৮) ও উত্তর বাড্ডা কাঁচা বাজারের ফারুকের মুদি দোকানের কর্মী বাপ্পী (২১)।

 

এছাড়া গ্রেফতার জাফর বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

 

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয়কে খুঁজছে পুলিশ। ফেসবুকে ছবি প্রকাশের পর তিনি পালিয়ে গেছেন।

 

শনিবার সকালে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই সন্তানের জননী রেনুকে। তিনি তার মেয়েকে ভর্তি করতে ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পদ্মাসেতু নিয়ে ছড়ানো গুজবে বিশ্বাস করে তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকায় স্থানীয়রা। প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

 

মর্মান্তিক এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। আর এতে নীল টি শার্ট পড়া হৃদয় নামের এক যুবককে হাতে লাঠি নিয়ে ক্রমাগত পেটাতে দেখা যায় রেনুকে। আর তার ছবি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।

 

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। জানান, তার নাম হৃদয়। উত্তরবাড্ডায় বাবা হানিফ আলীর সবজির দোকানে কাজ করেন তিনি। পড়াশোনা করেননি। এলাকায় আগে থেকে বখে যাওয়া যুবক হিসাবে পরিচিত।

 

 

Close