আন্তর্জাতিকজেলার খবর

জুলাই থেকে চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার এরাবিয়া

জুলাই থেকে চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার এরাবিয়া

আগামী জুলাই মাস থেকে চট্টগ্রাম-শারজাহ-রাস আল খাইমা রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালণা করতে চাচ্ছে দুবাই ভিত্তিক বাজেট এয়ারলাইন্স এয়ার এরাবিয়া।  অনুমতি পেলে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার এরাবিয়া শারজাহ হয়ে ট্রানজিট করে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ফ্লাইট পরিচালণা করবে। এয়ার এরাবিয়া অফিস সুত্রে এই তথ্য জানাগেছে। বিমান সংস্থাটি জানিযেছে, তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের কাছে এ বিষয়ে অনুমতির জন্য আবেদনও জানিয়েছে। রুটটি পরিচালণার জন্য তারা সম্পুর্ণ প্রস্তুত বলেও জানাগেছে। চট্টগ্রামের পাশাপাশি তারা এই রুটে ঢাকা থেকেও ফ্লাইট পরিচালণার জন্য সিভিল এভিয়েশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে।জানাগেছে এয়ার এরাবিয়া অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে থাকেন। একারণে এই বিমান সংস্থার প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের জোক বেশি। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ফ্লাইট পরিচালণা শুর হলে তারা সপ্তাহে চট্টগ্রাম-শারজাহ- রাস আল খাইমা রুটে সপ্তাহে ৭ টি ফ্লাইট চালাতে পারে।করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হওয়ার আগে এয়ার এরাবিয়া চট্টগ্রাম থেকে শারজাহ রুটে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দুটি ফ্লাইট চালাতো। ১৬৮ আসনের এয়ারবাস এ৩২০ সিরিজের বিমানে কোনো বিজনেস ক্লাস সিট নেই, সবই ইকনোমি ক্লাস। বাজেট এয়ারলাইনস বা কম খরচের বিমান সংস্থা বলে এই বিমানে দেওয়া হয় না খাবার। আর চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার পথে একজন যাত্রী ২০ কেজি এবং ফিরতি পথে ৩০ কেজি পরিবহনের সুযোগ পায়।করোনা ভাইরাস শুরু হবার আগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম চালাতো একমাত্র বিদেশি বিমান সংস্থা এয়ার এরাবিয়া। এছাড়া দেশি চারটি বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ার, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস, নভো এয়ার ও রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ বিমান আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করছে।চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটে একের পর এক বিদেশি বিমান সংস্থা কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলছে। ২০১৭ সালে তিনটি এবং চলতি বছর একটিসহ মোট চারটি বিদেশি বিমান সংস্থা কার্যক্রম বন্ধ করেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রী আসা-যাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহন না কমে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়েছে।বিদেশি বিমান সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের পরও এই গতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এর কারণ হচ্ছে, বিদেশি যাত্রীদের কাছে চট্টগ্রাম কস্ট সেভিং (ব্যয়সাশ্রয়ী) এয়ারপোর্ট। আর ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগের অন্যতম হাব হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। এ কারণে কয়েকটি বিদেশি বিমান সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হলেও এয়ার এশিয়া ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস চট্টগ্রামে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

Close