চান্দিনা

চান্দিনায় স্কুল ছাত্রী ফারজানা হত্যা ২৩ দিনেও উদঘাটন হয়নি রহস্য!

চান্দিনায় স্কুল ছাত্রী ফারজানা হত্যা
২৩ দিনেও উদঘাটন হয়নি রহস্য!

সাদেক হোসেন।।
প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় দীর্ঘ ২৩ দিনেও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের স্কুল ছাত্রী ফারজানার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হয়নি!
ওই স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি এতদিনেও।
উপজেলার বরকইট গ্রামের হাতঘন্ডিপাড় এলাকায় মামাদের অমানবিক নির্যাতনে স্কুলছাত্রী ফারজানা মারা যান স্থানীয়দের কাছে এমন তথ্য পেয়ে সংবাদ পরিবেশন করে দেশের প্রথম শ্রেণির কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরকইট গ্রামে মামার বাড়িতে এসে বরকইট উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ফারজানা। ওই সময় এক ছেলের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে তার।
ওই প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে মামারা। পরে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন মামাদের পরিবার।

বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই চলতি মাসের ৫ মে স্বামীর বাড়ি থেকে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায় ফারজানা। এদিকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলনা ফারজানার বড় বোন মৌসুমীসহ দুই মামা আবু হানিফ ও হাবিব উল্লাহ। ফারজানার উপর ক্ষিপ্ত হন তারা।

পরে ওই প্রেমিকের কাছ থেকে ফারজানাকে কৌশলে নিয়ে আসেন তারা। শাসনের নামে রাতে চলে তার উপর অমানবিক নির্যাতন। দুই মামা ও বড় বোনের বেধরক মারধরের এক পর্যায়ে মৃত্যু হয় ফারজানার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরের দিন সকালে দাফন সম্পন্ন করে পরিবারের সদস্যরা। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে জানানো হয়- স্ট্রোকজনিত কারণে ফারজানার মৃত্যু হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এমন অভিযোগ এনে মৃত্যুর আগে ফারজানাকে বেধরক মারধর করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পরিবারের লোকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে চান্দিনা থানা পুলিশ। ওই জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের কেউ হত্যার কথা স্বীকার করেনি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে পরিবারের কেউ স্বীকার না করা ও তাদের তরফ থেকে কোন ধরণের অভিযোগ না পাওয়ায় স্কুল ছাত্রী ফারজানার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনেও আগ্রহী নয় পুলিশ।
যে কারণে স্কুল ছাত্রী ফারজানা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে রাতের আধারে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর জানা একরকম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Exit mobile version