চান্দিনা

চান্দিনায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

আকিবুল ইসলাম হারেছ: করোনাভাইরাসে সৃষ্ট বিপর্যয়ে সারাদেশে যানবাহন বন্ধ থাকায় কৃষকরা ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছেন না।এদিকে ইরি-বোরো ধান কাটার সময় হয়ে গেছে।

তাই কুমিল্লার চান্দিনায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম আপনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাস্তে হাতে নেমে পড়েন উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের এতবারপুর এলাকার দরিদ্র কৃষক সুজন মিয়ার ধানি জমিতে। উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অন্তত ২০/২৫ জন নেতাকর্মী সুজন মিয়ার প্রায় তিন বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন।ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুজন মিয়া নিজেও ধান কাটেন। রোজা রেখে ধানা কাটার পর সেই ধান আবার সুজনের বাড়িতে পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

কৃষক সুজন মিয়া জানান, ১৫ দিন আগে আমার জমির সব ধান পেকেছে। কিন্তু ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ভাবছিলাম পরিবারের লোকজন নিয়েই জমির ধান কাটব। কারণ ধানগুলো এখন কাটতে না পারলে জমিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। হঠাৎ লোকমুখে শুনতে পাই ছাত্রলীগের ছেলেরা ধান কেটে দিচ্ছেন। পরে এতবারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আমার ধান কেটে দেবে বলে জানান। আজকে তারা আমার জমির ধান কেটে দিয়েছেন। শ্রমিক দিয়ে এই ধানগুলো কাটতে আমার অন্তত ১৫ হাজার টাকা খরচ হতো। ধান কেটে দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই কৃষক।

চান্দিনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম আপন বলেন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশনায় চান্দিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোজা রেখে কৃষক সুজন মিয়ার জমির পাকা ধান কেটে দিয়েছেন।যেসব কৃষকরা শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারবেন না, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেবে। এই দুর্যোগে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কৃষকদের পাশে আছে এবং থাকবে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধান কাটায় অংশ নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম আপন,এতবারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো.আক্তার হোসেন,দোল্লাই নোয়াবপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম.এ.মতিন মিয়াজীসহ স্থানীয় প্রায় ২০-৩০ জন ছাত্রলীগের নেতা কর্মী

Close