জেলার খবর

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

চাটখিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

নোয়াখালী টিভি : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহপুর মধ্যবাজারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে মাস্ক পরিধান করা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর ’দ্বিতীয় ঢেউ’ সামলানোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। জরিমানা পরিশোধের পাশাপাশি মাস্ক পরার জন্য উৎসাহিত করে মাস্ক দেন তাদের।

আজ ২২মার্চ সোমবার দুপুর ১টার সময় চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসার নেতৃত্বে শাহাপুর মধ্যবাজার থেকে অভিযান চালিয়ে ২ জন ব্যবসায়ীর মাস্ক পরিধান না করায় ৩০০ টাকা ও এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য থাকায় ৫০০ টাকা, নিউ মিষ্টি মুখ দোকানে অন্যের ব্যবহৃত মোড়ক ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ২০০০ টাকা, জলিল ক্লথ স্টোরে বিদেশি পণ্যে বাংলাদেশী কোন অনুমোদন না থাকায় বিক্রির অপরাধে ২০০০ টাকা একই সাথে ভূইয়া ক্লথ স্টোরকে ৫০০০ টাকা, মডার্ন গার্মেন্টস কে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ অভিযান পরিচালনার শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা বলেন, “মাস্কের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আমরা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
”দণ্ডবিধির যে ধারায় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আমরা এখন ১০০-২০০ টাকা করছি। কারণ অনেকে মনে নেই, বাসায় রেখে আসছি, হারিয়ে গেছে- এমন অজুহাত দেখিয়ে মাস্ক পরছেন না।” ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এখন দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা মাস্ক পরছেন বলে পর্যবেক্ষণ এই ম্যাজিস্ট্রেটের।

আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা নোয়াখালী টিভিকে জানা, “আমূল পরিবর্তন আসছে। শুরুর দিকে আমরা দেখেছি, বেশিরভাগের মাস্ক ছিল না, এখন মোটামুটি বেশিরভাগই মাস্ক
“হয়ত কেউ কেউ সঠিক জায়গায় পরছে না। দু’একজন রিকশা চালক ও নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। তাদেরকে বুঝিয়ে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক দিয়ে দিচ্ছি।”
অন্যদিকে কয়েকটি দোকানে বিদেশি পণ্য বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকায় ও বাংলাদেশী পণ্যে অনুমোদন না থাকায় তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।

Close