শিক্ষাঙ্গন

চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়তে পারে আরও ৩ মাস

চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়তে পারে আরও ৩ মাস

 

অনলাইন ডেস্ক।।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে আমরা কোটি কোটি শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ যদি অনেক দেরি হয় সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের এই শিক্ষাবর্ষের সাথে আগামী বছরের আরো তিনমাস যুক্ত করা যায় কিনা এবং আগামী শিক্ষাবর্ষকে নয় মাসে শেষ করা যায় কিনা তা ভাবছি।

 

তিনি বলেন, অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে আমরা বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম। বিটিভির ক্লাসগুলো হওয়ার পর আমরা মাঠ পর্যায়ে একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছি, আমরা যা ধারণা করেছি তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি। তাই আমরা অনেকগুলো ভিন্ন পরিকল্পনা ভাবছি।

 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সবাই একই ধরনের চেষ্টা করছি এই করোনাকালীন সময়। আমরা দেখছি সরকার এবং বিশেষজ্ঞদের ভাবনা এক।

 

করোনা পরিস্থিতিতে ঝরে পড়ার হার, দারিদ্রের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের চাকরি হারানো বা কর্মসংস্থানের হার অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বাল্য বিবাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। শিশুশ্রম বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা কারিগরিতে শেখাতে চাই। আমরা যেটুকু শেখানো দরকার আ শেখানো উচিত তা না করে আমরা কাউকে সার্টিফিকেট দিবো না। প্রাকটিক্যালে নিন্মতম শিক্ষা আমরা না দিতে পারলে কাউকে সার্টিফিকেট দিবো না। তবে, এখন আর এটি ভাবার সুযোগ নেই যে, একেবারে প্রাকটিক্যাল ক্লাসরুম ছাড়া বা ওয়ার্কশপ ছাড়া আপনি শিখতে পারেন না। এখন কিন্তু ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরিরও কনসেপ্ট আছে এবং সেটি প্রচলিতও আছে। আমরা হয়তো এখনো সেই প্রযুক্তিতে যাইনি তবে, আমরা সামনে এ ধরনের প্রযুক্তি যাতে ব্যবহার করতে পারি তা নিয়ে কাজ চলছে।

 

তিনি আরও বলেন, স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি, যখন আমরা কেউ রাস্তায় বের হই অবশ্যই ঝুঁকি নিয়ে বের হই, কিন্তু আমরা যখন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের যে বয়স তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা যে আক্রান্ত হয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহিঃপ্রকাশ করতে পারবে না। কিন্তু তারা তাদের পরিবার, বিশেষ করে তাদের পরিবারে যারা বয়স্ক আছেন কিংবা তাদের পরিবারের যারা রয়েছেন যারা আগের থেকেই আক্রান্ত রয়েছেন তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন।

 

যে কোনো সংকট শুধু সংকট নয়। যে কোনো সংকট আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মেচন করে। এবং আপনি একটা সংকটে পড়লেই তখন আপনি পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। আমরাও তাই এই শিক্ষাখাতে নতুন এই সংকট মোকাবিলার পথ খুঁজছি। আমরা অনেক নতুন সম্ভাবনার দিক দেখছি। আমাদের সেই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

 

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘১০ লাখ শিক্ষার্থী যাদের কাছে আমরা কোনোভাবেই পৌঁছাতে পারছি না তাদের বিষয়ে আমরা ভিন্ন চিন্তা করছি। আমরা ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট লোন দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবছি। অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের কিছু অংকের টাকা দিয়ে সহায়তা করছে।’

 

বাংলাদেশ জার্নাল

Close