আন্তর্জাতিকজাতীয়শিক্ষাঙ্গন

হায়রে সন্তান, বাবার মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অকৃত্রিম ভালবাসা একটু ওকি বুঝনা।

চিলোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক ছিলেন হাজী রমিজ উদ্দিন। বর্তমান বয়স ৭০। অবসর গ্রহনের পর বাড়ীতে শ্বাসকষ্ট সহ নানারোগে ভুগছেন। ৮০০০ টাকা পেনশন পান। ২ছেলে ও ১ মেয়ে, সবাই বিবাহিত। বড় ছেলে রুহুল আমিন সোহেল দাখিল পাশ করে বর্তমানে বেকার।  পৃথক সংসার। ছোট ছেলে নুরুল আমিন সোহাগ এস.এস.সি পরীক্ষায় ফেল করে গার্মেন্টস এ চাকুরী  করেন। তিনি তার স্ত্রী  ছোট ছেলের সাথে থাকেন। এই কারনে পেনশনের ৮০০০ টাকার মধ্যে মাসে ৪০০০ টাকা ছোট ছেলেকে দেন। যে টুকু সম্পদ ছিল ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে  রেজিষ্ট্রি  করে দিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে সোহেল প্রতিদিন টাকা চায়, টাকা না দিলে অত্যাচার করে, গালমন্দ করে। বাবা মা  হিসাবে বড় ছেলের লাগাতার অত্যাচারে খুবই অশান্তিতে আছেন। এই অশান্তি আর সহ্য করতে পারছেন না। একজন শিক্ষক হয়ে এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে নির্যাতন বেঁচে থাকাই যেন কঠিন হয়ে উঠেছে। তিনি ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়ার এবং সমস্যা থেকে  মুক্তি পেতে থানায় এসেছেন। আমি বিস্তারিত শুনে মোবাইল অফিসার এস, আই হারুন মিয়াকে সোহেল কে ধরে থানায় আমার নিকট হাজির করার নির্দেশ দেই। সংগে সংগে অসহায় বাবা আমার হাত চেপে ধরে অনুরোধ করেন,দেখি চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসছে, বলেন,আমার ছেলেকে মারবেন না, একটু শাসন করে দেন তাতেই চলবে। হায়রে সন্তান, বাবার মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অকৃত্রিম ভালবাসা একটু ওকি বুঝনা।

 

ওসি চান্দিনা থানা ফেইসবুক আইডি থেকে

 

    

Close