শিক্ষাঙ্গন

(বেরোবি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল (অবঃ) স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এই বহিস্কারের সিদ্ধান্ত জানান।

বহিস্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-রেজিস্ট্রার মোর্শেদুল আলম রনি ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলম।

জানাগেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ব্যতিত ৩৩৮ জন কর্মচারীকে নিয়োগ ও শর্ত পূরণ ছাড়াই পারস্পরিক যোগসাজশে উচ্চতর পদে নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল করিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে দন্ডবিধি ধারা: ৪০৯/১০৯, তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (যার নম্বর-স্পেশাল কেস নম্বর- ৮/২০১৭, কোতয়ালী থানার মামলা নম্বর- ৪০/২০১৩, জি আর কেস নম্বর ১০৯৮/১৩)।

ওই মামলায় বেরোবির উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডল, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-রেজিস্ট্রার মোর্শেদুল আলম রনি ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলমসহ তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়।

দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ বিশেষ জজ আদালত রংপুর এর নিকট উক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত একই বছরের ২০ জুলাই চার্জশিট আমলে নিয়ে আদালতে হাজির উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডল ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ওই বিচারিক আদালতে ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, মোর্শেদুল আলম রনি ও খন্দকার আশরাফুল আলমকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু দুদক ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল (নম্বর ৩৮৯/২০১৮) দায়ের করলে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আদেশ বাতিল করে রুল জারি করেন। অভিযুক্ত তিনজনকে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, মোর্শেদুল আলম রনি ও খন্দকার আশরাফুল আলম হাজির হয়ে ২০ হাজার টাকা মুচলেকা প্রদান করে আদালত থেকে জামিনে নেন। এখনো তারা জামিনে আছেন।

Close