জাতীয়

ইয়াবা সেবনকারী ও পাচারকারীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড মন্ত্রীসভায় অনুমোদন।

ইয়াবা সেবনকারী ও পাচারকারীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড মন্ত্রীসভায় অনুমোদন।

 

 

বর্তমানে মাদকদ্রব্যে আসক্তির পরিমাণ অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সমাজে মাদকাসক্তে আসক্তির পরিমাণও বেড়েছে। আর সব থেকে বেড়েছে ইয়াবা সেবনে। কোনভাবেই এই মাদক বা ইয়াবা সেবন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

 

 

 

 

ইয়াবার বিষয়ে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে এবারে মন্ত্রিসভা আইনে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন বা কোকেন উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের পাশাপাশি সেবন করলে এই শাস্তি।

 

সোমবার (০৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। আইনে ইয়াবা, সীসা বার এবং ডোপ টেস্টকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহনে সর্বনিম্ন শাস্তি যাবজ্জীবন রাখা হয়েছে। ৫ গ্রামের কম বহন করলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর ও সর্বনিম্ন ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো পানীয়তে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল থাকলে সেটি বিয়ার হিসেবে গণ্য করা হবে।

 

এছাড়া আজকের বৈঠকে শ্রম আইনের সংশোধনীর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

 

এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে

 

 

 

 

 

 

 

 

Close