আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিল বাংলাদেশ

মিয়ানমারের যেসব রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে রাখাইনের অন্তর্ভুক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, সেসব ওয়েবসাইটের তথ্য-উপাত্তে পরিবর্তন করেছে তারা।

 

সেন্টমার্টিনের নাম বদল করে মিয়ানমার তাদের মানচিত্রে রাখাইনের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে ‘মঙটাও’ নামে অভিহিত করে।

 

বিষয়টি জানতে পেরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে গত ৬ অক্টোবর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কূটনৈতিক চিঠি দেয় বাংলাদেশ। পাশাপাশি কেন এমন ঘটনা ঘটলো— মিয়ানমারের কাছে তার লিখিত ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়।

 

জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর দুপুরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করার পর গত ১১ অক্টোবর ফের তাকে মন্ত্রণালয়ে আসতে বলা হয়।

 

১১ অক্টোবর রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র কাছে সেন্টমার্টিন ইস্যুতে মিয়ানমারের লিখিত জবাবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, বিষয়টির জন্য মিয়ানমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কেননা মানচিত্রে সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের মধ্যে দেখানোর বিষয়টি ভুলক্রমে হয়ে গেছে। মানচিত্রসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সংশোধন করছে মিয়ানমার। শিগগিরই এ বিষয়ে ঢাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে নেইপিদো।

 

ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, আনুষ্ঠানিক জবাবের জন্য আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে কোনো জবাব না এলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

এর আগে, মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) নামের দেশটির সরকারি একটি ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেশটির জাতীয় খানা জরিপ শেষে যে পরিসংখান উপস্থাপন করা হয় তাতে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খানা জরিপে সেন্টমার্টিনের অধিবাসীদেরও মিয়ানমারের নাগরিক বলে দেখানো হয়েছে। মিয়ানমারের মানচিত্রের রঙের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের রঙ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সীমানা মানেনি দেশটি।

Close