জাতীয়

বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ছে

বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক।।   আবাসিকের জন্য বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল পরিশোধের সময় আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ। তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা হচ্ছে এবং হবে। কোনো অবস্থায়ই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হবে না। গতকাল দুপুরে বিদ্যুৎ মন্ত্রাণলয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

 

সচিব আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বিতরণ কোম্পানিগুলোর বাড়তি বিলের জন্য দায়ী মোট ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার ২৬৫টি বিলে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। ড. সুলতান আহমেদ বলেন, করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাড়ি বাড়ি যেতে না পারায় কিছু ভুল বিল এসেছে। বিদ্যুতের গড় বিল করায় এটা হয়েছে। সব অভিযোগের তদন্ত করে বিল সমন্বয় করে দেওয়া হবে। কাউকেই ব্যবহারের অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। যেসব অভিযোগ এসেছে তাদের বিল সমন্বয় করা হচ্ছে।

 

আরও অভিযোগ এলে সেগুলোও সমন্বয় করা হবে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির আওতায় আনা শুরু হয়েছে, যা চলমান আছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, শুধু আবাসিকের জন্য বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল দেওয়ার সময় আরও বাড়ানোর ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ইতিবাচক মতামতও দিয়েছেন। তবে বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল পরিশোধে শিল্প বাণিজ্যের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, ইতিমধ্যে চার প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩৬ প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালককে (আইসিটি) প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এখন থেকে রিডিং দেখে বিল করা হবে

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (বিআরইবি) মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) এমডি প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) এমডি প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) এমডি প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিনসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিতরণ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

সুত্র বাংলাদেশ প্রতিদিন

Exit mobile version