রাজনীতি

দৈনিক মানবকন্ঠের সঙ্গে সাক্ষাৎকার কালে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন।

দৈনিক মানবকন্ঠের সঙ্গে সাক্ষাৎকার কালে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন।

====================================

 

বাজেট সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রস্তাব করা হয়নি। এই মুহূর্তে যে সমস্ত খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল তা যথাযথ হয়নি। অস্পষ্টতার কারণে প্রতিক্রিয়া সুস্পষ্ট ভাবে ব‍্যক্ত করা কঠিন। যেমন সামাজিক নিরাপত্তা খাত, শিক্ষা খাত, স্ব‍াস্হ‍্য খাত ইত‍্যাদি খাতকে অগ্রাধিকার দেখালেও বরাদ্দে এক খাতের টাকা অন্য খাতে দেখিয়ে এক ধরনের গোজামিল দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫,৫৭৪(পচানব্বই হাজার পাচ শত চুয়াওর) কোটি টাকা রাখা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারীদের পেনশনের টাকা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, এছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদের একটি অংশ এই খাতে দেখানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, আগামী অর্থ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রেখেছেন ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা অথচ বাজেট দলিলে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। শিক্ষা বাজেটে

রুপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। কৃষি ভুতর্কির বিযয়টি ও স্পট নয়। তাছাড়া বাজেটে দেশের কল‍্যাণে অনেক বরাদ্দ আছে যাতে মানুষ উপকৃত হবে তবে ধনীরা আরও ধনী হওয়ার সুযোগ পাবে।

তারপরও বলতে হবে গত ১০ বছরে সরকার দেশকে বহুদুর এগিয়ে এনেছে, বিশ্বব‍্যাপী মন্দা চলাকালীন সময় দেশের অর্থনীতি স্তিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছে।

এখন এই কোভিড ১৯ সংকটে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে

দিনরাত মানুষের পাশে আছেন এ ভাবে প্রশাসনের সকলকে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই কোভিড ১৯ মোকাবেলা করতে হবে। মেগা উন্নয়ন প্রকল্প গুলো প্রয়োজনে এক বছর স্হগিত রেখে করোনা মোকাবেলাদ্দয় অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে দিতে হবে।

 

১৯৯৬ ইংরেজি সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী মরহুম এস.এম. কিবরিয়া প্রথমেই সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখেন পরবর্তী প্রতিটি সরকারের আমলে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১০ বছরে ১৪ টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশকে মধ‍্যম আয়ের দেশের কাছাকাছি নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।কোন অবস্থায় কারও প্ররোচনায় বিশেষ করে বিশ্বমোড়লদের ইচ্ছায় এই অর্জন বিনষ্ট করা যাবে না।

 

মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট

Close